শিক্ষনীয় গল্প : Educational Story in English 2022

Educational Story in English 2022- Educational Story-Story in English 2022-শিক্ষনীয় গল্প-অদ্ভুত ধরনের গল্প-অদ্ভুত গল্প-জীবনের গল্প-ইংরেজি গল্প 2022

এক শরীরে দুই প্রাণ!। পৃথিবীতে নানান অদ্ভুত ধরনের জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। আজব এই পৃথিবী, তারচেয়েও আজব এই পৃথিবীর মানুষ। কখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন অনেক কিছুই দেখতে বা শুনতে পাওয়া যায়, যা তাজ্জব বানিয়ে দেয় আমাদেরকে।  

শিক্ষনীয় গল্প : এক শরীরে দুই প্রাণ!। Educational Story in English 2022

Educational Story in English 2022

দুটি মানুষের আলাদা চিন্তাভাবনা, আলাদা নেশা, আলাদা খাদ্যাভ্যাস। কিন্তু বেড়ে উঠেছে একই শরীরে। জার্মানির মিনেসোটায় ১৯৯০ সালের ৭ মার্চ  জন্ম নেয় জোড়া শিশু অ্যাবিগেইল ও ব্রিটনি। বিশ্বখ্যাত সেই দুই বোনের ছোট থেকে বড় হওয়া গল্পের মতোই। ইতিমধ্যে অ্যাবি-ব্রিটনি তাঁদের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।সারা বিশ্ব তাঁদের একনামে চেনে। জন্মের সময়ে যখন তাঁদের মা প্যাটি হেনসেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তিনি জানতেন তাঁর শরীরে একটি ভ্রূণই বেড়ে উঠছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে জোড়া শিশু সন্তান উপহার দেন। বাইরে থেকে তাঁদের শুধু মাথা দুটো আলাদা।আর,অন্য সব অঙ্গ একসাথে।  সাধারণত এ রকম সন্তান খুব বেশি দিন বাঁচতে পারে না। Educational Story in English 2022

রহস্যময়ী তাজমহলের অজানা ইতিহাস। TajMahal : the true story

চিকিৎসকেরা প্যাটিকে জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার করে তাঁদের আলাদা করে দেওয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে যে কোন একজনকে বাঁচাতে পারবেন তাঁরা। মায়ের মন তাতে রাজি হয়নি। কোন সন্তানকেই প্যাটি হারাতে চাইলেন না। স্বামীর সঙ্গে মিনেসোটার প্রত্যন্ত ফার্মে দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁরা বসবাস শুরু করেন। আর এখানেই অ্যাবি ও ব্রিটনি এই দুই বোন বড় হন।অতঃপর মা হিসেবে জীবনযু’দ্ধ চলতে থাকে পেটির। সমাজের নানা মন্দ কথা শুনেও কখনো কানে তুলেননি তিনি। দুই কন্যাকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলেছেন তিনি। আজ তারাই শিক্ষক। একজন পড়ান গণিত, আরেকজন ইংরেজি। বাইকও চালাতে পারেন তারা। Educational Story in English

তারা দু’জনই সংযুক্ত। তবে তাদের দুইটি মাথা ও ঘাড় আলাদা। দুই পায়ে ভর করে চলেন এই দুই বোন। এমনকি তাদের হাতও দুটি। 

৩০ বছর বয়সী এই বেনেরা এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠও চুকিয়ে ফেলেছেন। তারা নিজেরাই আজ স্বাবলম্বী। চালাতে পারেন গাড়িও। তারা আজ সবার কাছেই দৃ’ষ্টান্তস্বরূপ। অ’সম্ভবকে তারা জয় করেছেন।  অ্যাবি ও ব্রিটেনির মতো সংযুক্তদের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী অনেক কমই রয়েছেন। ৫০ হাজারের মধ্যে মাত্র একজন এমনভাবে জন্মাতে পারে। এদের মধ্যে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ সংযুক্তরা বাঁচলেও অন্তত ৩৫ শতাংশই জন্মের পরপরই মা’রা যায়। তারা মূলত ডিসেফুলাস টুইনস।  "শিক্ষনীয় গল্প"

দু’জনের শরীর এক হলেও মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও আলাদা। এমনকি খাবারের প্রতি ভালবাসাও আলাদা। হৃৎপিণ্ড, পিত্তাশয় এবং পাকস্থলী আলাদা। তাই তাদের খিদেও আলাদা আলাদা সময়ে পায়। কিন্তু বাকি সব কিছুই এক। যেমন অন্ত্র একটাই, একটাই লিভার, দুটো কিডনি-ডিম্বাশয়। আর তিনটে ফুসফুস রয়েছে তাঁদের। ফলে বেশিরভাগ জৈবিক ক্রিয়াগুলো তাঁদের একই সঙ্গে ঘটে।

জন্মের সময় তারা মোট তিনটি হাত নিয়ে জন্মেছিলেন। তবে সেটি তারা সেভাবে ব্যবহার করতে পারত না। এজন্যই তা পরবর্তীতে কেটে ফেলা হয়েছে।  তারা স্বাবলম্বী, নিজেদের সব কাজই তারা করতে সক্ষ’ম। লিখতে, পোশাক পরতে, বাইক চালাতে, কি-বোর্ডে লিখতে, পিয়ানো বাজাতে এমনকি হাঁটতেও সক্ষ’ম তারা।তবে ঘু’মানোর সময় কাত হয়ে শোয়ার কোনো সুযোগ নেই তাদের। এজন্য ঠিকভাবে ঘু’মাতে পারেন না দুই বোন। অ্যাবি ও ব্রিটেনি একে অন্যকে সাজিয়েও দেন।  এই জমজ বোনদের মা পেটি জানান, তাদের দু’জনের চাহিদা কিংবা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও ভিন্ন হয়ে থাকে। এই ধরুন, অ্যাবির সর্দি-জ্বর হলো। কিন্তু ব্রিটেনি ঠিক সুস্থই রইল। আবার ব্রিটেনির পেটে ব্যথা করলে তখন অ্যাবি আবার সুস্থ। এভাবেই তারা একে অন্যের চেয়ে মানসিকভাবে আলাদা। তাদের খাবারের চাহিদাও ভিন্ন। কেউ এখন খাচ্ছে তো আরেকজন পরে, আবার কারো ঘু’ম পাচ্ছে তো আরেকজন পড়ছে!

এমনই ঘটে তাদের সঙ্গে। অ্যাবি অবশ্য ব্রিটেনির চেয়ে উচ্চতায় লম্বা। এজন্যই পোশাকেও তাদের দু’জনের মাপ আলাদা হয়ে থাকে। ঠিক একইভাবে জুতার মাপও আলাদা। এজন্য অ্যাবি ফ্ল্যাট জুতা পরলেও ব্রিটেনিকে অন্য পায়ে পরতে হয় হিল জুতা। এভাবেই মানিয়ে গু’ছিয়ে চলেন তারা। ছাত্রী হিসেবেও তারা একে অন্যের চেয়ে আলাদা। অ্যাবি বরাবরই গণিত পছন্দ করেন। অন্যদিকে, ব্রিটেনির পছন্দ ইংরেজি। তাই তারা দু’জনই ভিন্ন বি’ষয়ে পড়াশুনা করেছেন। এমনকি তারা দু’জনেই একটি স্কুলে দুই বি’ষয়ে শিক্ষকতা করছেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় তারা দুই হাত দিয়ে দুইজন ভিন্ন বি’ষয় লিখতেন। এভাবেই তারা ভালো নম্বর অর্জন করে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন। "শিক্ষনীয় গল্প"

তবে অ্যাবি আর এতসব সমস্যা  নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। নিজেদের মধ্যে তাঁদের দারুণ বোঝাপড়া। দিন-রাত তাঁরা একে অপরের সঙ্গে খুনসুঁটি চালিয়ে যান। তবে সে সবের মধ্যে তাঁদের একটাই আফসোস। যে স্কুলে তাঁরা পড়ান, সেখানে তাঁদের একজন হিসাবেই গণ্য করা হয়। তাই মাইনেও একজনেরই দেওয়া হয়। অথচ শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিগুণ পরিশ্রম করেন তাঁরা। "Educational Story"

Getting Info...

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.