দেশব্যাপী ভোটার তালিকা ২০ মে | Voter List 20 May2022
দেশব্যাপী ভোটার তালিকা ২০ মে থেকে শুরু | Voter List 20 May2022
এবার কিন্তু ২০ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য হালনাগাদ এর কার্যক্রম | তো এই ভোটার তথ্য হালনাগাদ এর কার্যক্রম এর ভিতরে আপনাদেরকে বেশকিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে | কিংবা যারা দেশের বাইরে রয়েছেন এখনো পর্যন্ত ভোটার হননি | বাংলাদেশের এসেই এবার নতুন ভোটার হয়েছেন | তাদের প্রত্যেকেরই এই বিষয়ে ধারণা রাখা উচিত | তা না হলে কিন্তু অনেক বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন |
আপনারা সবাই কম বেশি জানেন আগামী ২০ মে থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে | বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সেটা কিন্তু ২০ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে | তো এই ক্ষেত্রে আপনাদের ভিতর যারা আগে ভোটার তালিকা হতে বাদ পড়েছেন | তাদেরকে নিবন্ধন করা হবে এই ভোটার তালিকা কার্যক্রমের মাধ্যমে | এবং যারা এ বছর নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন তাদের কেউ কিন্তু এই ভোটার তালিকা কার্যক্রমের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হবে | তো এই ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নাম দেওয়ার আগে আপনাদের কিছু বিষয় সতর্ক হতে হবে |
প্রথমত হল যাদের সার্টিফিকেট আছে তারা অবশ্যই এটা খেয়াল রাখবেন যে, আপনার সার্টিফিকেট এর সাথে যেন আপনার যে ভোটার তথ্য গুলো দিচ্ছেন কার সাথে যেন মিল থাকে | তার কারণ আপনি যদি আপনার সার্টিফিকেট এর সাথে মিল না রেখে ভোটার আইডি কার্ড করেন বা জাতীয় পরিচয় পত্র করেন | পরবর্তীতে কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার অনেক ঝামেলার শিকার হতে হবে |
তো এই ক্ষেত্রে আপনি খেয়াল রাখবেন আপনার সার্টিফিকেট এর সাথে যেন ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে সকল তথ্যর মিল থাকে | আপনাদের ভেতরে এমন অনেকেই রয়েছেন যে সার্টিফিকেট এর ভেতরে বাবা মায়ের নাম একটা ভোটার আইডি কার্ড বা বাবা-মার জাতীয় পরিচয় পত্রের ভেতরে নাম আরেকটা | এই ক্ষেত্রে আপনারা কি কাজ করবেন | এই ক্ষেত্রে আপনার তথ্য সংগ্রহকারী সঙ্গে পরামর্শ করবেন | যে আমার এই সমস্যা টি রয়েছে এই সমস্যাটির কারণে এখন আমি কি করতে পারি | তার কারণ এখন আপনার সার্টিফিকেটে যে নাম রয়েছে বাবা-মায়ের সে নাম দিয়ে যদি জাতীয় পরিচয় পত্র করেন পরবর্তীতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম চেঞ্জ করতে হবে | আপনার সার্টিফিকেটটি ঠিক রাখতে হবে অথবা আপনার বাবা মায়ের নামজাতীয় পরিচয় পত্র থেকে সংশোধন করতে হবে | এই দুইটা কাজই কিন্তু অনেক কঠিন হয়ে যাবে |
এই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় আপনার একটা কাজ করতে পারেন | সেটা হলো তথ্য সংগ্রহকারী এর কাছে আপনারা বলতে পারেন যে আমার বাবা-মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের যে নাম রয়েছে | সেই নামটি আপনি ফরম এর ভেতর উঠিয়ে নিয়ে যান | পরবর্তীতে আমি আমার সাকিবের একটি সংশোধন করেন নিয়ে নেব | তারমানে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট এর ভিতর নাম সংশোধন করলেই আপনার কাজ হয়ে যাচ্ছে |
বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে ভোটার তথ্য সংশোধন করা কিন্তু অনেক কঠিন একটা কাজ | তবে বিষয়টি আপনারা প্রত্যেকেই মাথায় রাখবেন | তো এর পরও যদি আপনার কাছে ঝামেলা মনে হয় তথ্য সংগ্রহকারী কাছে আপনার তথ্য দিবেন না | আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করে আপনি তথ্য সংগ্রহকারী কাছে আপনার তথ্য দিবেন বা নতুন করে ভোটারের জন্য আবেদন করবেন | তো আপনাদের ভেতরে অনেকেই রয়েছেন যাদের সার্টিফিকেট নেই | কিন্তু জন্ম নিবন্ধন কার্ড রয়েছে | এই ক্ষেত্রে অনেকেরই দেখা যায়, জন্ম নিবন্ধনের কার্ড এর ভেতরে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ভুল রয়েছে | আপনার কাছে যে জন্ম নিবন্ধনের কার্ডটি রয়েছে সেটা অনলাইনে আছে কিনা | আর যদি অনলাইনে থাকে সেটা অনলাইনে সার্চ করে দেখুন নিন | আপনার নামের তথ্য আপনার বাবা-মায়ের নামের তথ্য সঠিক রয়েছে কিনা | যদি আপনার নামের তথ্য আপনার বাবা-মায়ের নামের তথ্য সঠিক থাকে তাহলে শুধুমাত্র সেই জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিয়ে আপনি ভোটার তথ্য সংগ্রহকারী কাছে তথ্যটি উপস্থাপন করুন | অথবা যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর ভেতরে কোন ভুল থাকে | সেটা দ্রুত আপনি সংশোধন করে নিন | এবং সংশোধন করার পরে তথ্য সংগ্রহকারী কাছে আপনার তথ্য দিন | তার কারণ একবার জাতীয় পরিচয় পত্র হয়ে গেলে সেটার তথ্য সংশোধন করা কিন্তু অনেক কঠিন একটা বিষয় |
এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য দেই সেটা হচ্ছে আমাদের ভেতরে অনেকেই প্রবাসী রয়েছে | প্রবাসী ভাইয়েরা যখন দেশে বাহিরে গেছেন অনেকেই রয়েছেন | আমি নিজে দেখেছি আগের যে এনালগ যে সার্টিফিকেটা রয়েছিল জন্ম নিবন্ধন কার্ড টা রয়েছিল | তারমানে হাতে লেখা যে জন্ম সনদ টির হয়েছিল সেই হাতের লেখা জন্ম সনদ দিয়ে নিজের বয়স বাড়িয়ে পাসপোর্ট করেছেন | এবং বর্তমানে আপনি বাংলাদেশে এসেছেন এবং বাংলাদেশে আসার পরে আপনাদের ভেতরে অনেকেই এমন কাজ করেছেন | যে আপনার যে সঠিক জন্ম সাল রয়েছে সেই সঠিক জন্ম সাল দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র করেছেন | এখন আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে | এখন আপনি যখন পাসপোর্ট রিনিউ করতে যাচ্ছেন তখন আপনার সার্টিফিকেট এর সাথে এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে পাসপোর্ট এর সাথে কোন মিল নেই | যার কারণে কিন্তু আপনি আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারতেছেন না | এখনো অনেকেই এই ঝামেলার কারণে কিন্তু দেশের বাহিরে যেতে পারতেছেন না |
আবার অনেকেই রয়েছে পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারতেছে বিভিন্ন ঝামেলা করে | পাসপোর্ট সংশোধন করার পরেও পাসপোর্ট পাসপোর্ট নিয়ে যখন দেশের বাহিরে যাবেন সেই দেশের যে ইমিগ্রেশন রয়েছে সেই ইমিগ্রেশন থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে | সুতরাং পাসপোর্ট এর তথ্য কিন্তু সংশোধন করার চেষ্টা ভুলেও করা যাবে না | পাসপোর্ট এর তথ্য সংশোধন করতে গেলে কিন্তু আপনাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন |
এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে যে সাজেশনটি আমি দেবো যে যারা প্রবাসে রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে ও প্রবাসে যেতে চান তারা অবশ্যই নিজের পাসপোর্ট এর সাথে মিল রেখে ভোটার তালিকায় নাম দেবেন | নিজের পাসপোর্ট এর সাথে সকল তথ্য মিল রেখে আপনি ভোটার তালিকার ভেতরে আপনি নামটা দিবেন | যদি পাসপোর্ট এর সাথে আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর মিল না থাকে | তাহলে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড টি সংশোধন করে নিন | তার কারণ পাসপোর্ট তথ্য সংশোধন করলে এখন অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে যাচ্ছে এবং অনেক বড় ধরনের সমস্যায় পড়তেছেন অনেকেই |
সুতরাং যারা প্রবাসী ভাইয়েরা রয়েছেন তাদের কাছে রিকোয়েস্ট থাকবে | আপনি যদি তার হতে চান বা এ বছরের যদি নতুন ভোটার হতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট কে প্রাধান্য দেবেন | আপনার পাসপোর্ট এর সাথে আপনার তথ্য মিল রেখে জাতীয় পরিচয় পত্র করার জন্য তথ্য সংগ্রহকারী কাছে আপনার তথ্য দেবেন | এই যে বিষয় গুলোর কথা বললাম আমার মনে হয় প্রত্যেকটি তথ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ | এছাড়াও যদি কোনো তথ্য আপনাদের জানার থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন | আর এই পোস্টে টি আপনার জনস্বার্থে অবশ্যই আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করবেন | তার কারণ এই বিষয়টি প্রত্যেকেরই জানা দরকার |